শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৩৭ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেনি যেসব দল জাতীয় ঐক্যের নামে জাতির সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে: নাহিদ ইসলাম তৃতীয় বিয়ের অনুমতি না পাওয়ায় গাংনীতে প্রবাসীর আত্মহত্যা রাকসু নির্বাচনে বিজয়ী হলেন যারা জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবে না এনসিপি যাদের সন্তুষ্টিতে জান্নাত ডাকসুর উদ্যোগে উচ্চশিক্ষা ও রিসার্চ প্রপোজাল প্রস্তুতির উপর বিশেষ কর্মশালা অনুষ্ঠিত অস্ট্রেলিয়াজুড়ে এক হাজারেরও বেশি শিশু-কিশোর রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছে ‘জাতীয় সীরাত কুইজ প্রতিযোগিতায়’ অংশগ্রহণের জন্য ‘রাসূল (সা.) আদর্শ জানবে অস্ট্রেলিয়ার নতুন প্রজন্ম’! ওবায়দুল কাদেরের ভাই গ্রেপ্তার এইচএসসিতে ফেল ৫ লাখেরও বেশি পরীক্ষার্থী

৫৪ বছরে ৮ পে-স্কেল: কোনটিতে কত শতাংশ বেড়েছিল বেতন?

দীর্ঘ এক দশক পর গঠিত নবম পে কমিশনের সুপারিশের দিকে তাকিয়ে আছেন দেশের সরকারি কর্মজীবীরা। এবারের পে-স্কেলে শুধু বেতন বাড়ানোই নয়, স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো গ্রেড সংখ্যা কমিয়ে এবং সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন বেতনের অনুপাত হ্রাস করে বৈষম্য কমানোর চিন্তা চলছে কমিশনের মধ্যে।

জানা গেছে, কমিশনের প্রস্তাবে মূল বেতন দ্বিগুণ পর্যন্ত বাড়ানোর আভাস মিলেছে। এ কারণে সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে বেতন বৃদ্ধির হার নিয়ে আগ্রহের পাশাপাশি রয়েছে উদ্বেগও। স্বাধীনতার পর এ পর্যন্ত দেশে আটবার পে কমিশন গঠিত হয়েছে। প্রত্যেকবারই বেতন ৫০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে, তবে নিচের গ্রেডের কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধির হার তুলনামূলকভাবে বেশি ছিল।

পূর্বের পে স্কেলগুলো এক নজরে

১৯৭৩ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পে স্কেল প্রণয়ন করা হয়। তখন সর্বনিম্ন বেতন ছিল ১৩০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ২ হাজার টাকা—অনুপাত ১৫.৩৭:১।
১৯৭৭ সালে দ্বিতীয় পে কমিশন সর্বনিম্ন বেতন ২২৫ ও সর্বোচ্চ ৩ হাজার টাকা নির্ধারণ করে, অনুপাত কমে দাঁড়ায় ১৩.৩৩:১।
১৯৮৫ সালে তৃতীয় পে কমিশন সর্বনিম্ন বেতন ৫০০ ও সর্বোচ্চ ৬ হাজার টাকা করে, অনুপাত দাঁড়ায় ১২:১।
১৯৯১ সালে চতুর্থ পে কমিশনে সর্বনিম্ন বেতন ৯০০ ও সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়, অনুপাত ১১.১১:১।
১৯৯৭ সালের পঞ্চম পে স্কেলে সর্বনিম্ন বেতন দেড় হাজার ও সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা করা হয়—অনুপাত ১০:১।
২০০৫ সালের ষষ্ঠ পে স্কেলে সর্বনিম্ন বেতন ২ হাজার ৪০০ ও সর্বোচ্চ ২৩ হাজার টাকা—অনুপাত কমে দাঁড়ায় ৯.৫৮:১।
২০০৯ সালে সপ্তম পে স্কেলে অনুপাত কিছুটা বেড়ে ৯.৭:১ হয়, সর্বনিম্ন বেতন হয় ৪ হাজার ১০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৪০ হাজার।
সবশেষ ২০১৫ সালে প্রণীত অষ্টম পে স্কেলে সর্বনিম্ন বেতন ৮ হাজার ২৫০ ও সর্বোচ্চ ৭৮ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়। এতে সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ বেতনের অনুপাত কিছুটা কমে দাঁড়ায় ৯.৪৫:১।

নতুন পে স্কেলে আশার আলো

এখন নবম পে স্কেলের অপেক্ষায় সরকারি চাকরিজীবীরা। তাদের দাবি—সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ বেতনের অনুপাত আরও কমিয়ে বৈষম্য হ্রাস করা হোক। অনেকে প্রস্তাব দিয়েছেন, অনুপাত ১:৪ করার পাশাপাশি গ্রেড সংখ্যা কমিয়ে বেতন কাঠামো আরও বাস্তবসম্মত করা উচিত।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী বেতন কাঠামো বাস্তবায়ন হয়, তাহলে এটি হবে দেশের ইতিহাসে অন্যতম বড় বেতন সংস্কার উদ্যোগ।

 

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved Meherpur Sangbad © 2025